আমাদের অনেকের মনেই একটা প্রশ্ন মাঝে মাঝে উকি মারে, তা হল মেঘের মধ্যে কিভাবে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়। অনেকেই ভাবেন কিভাবে বজ্রপাত হয়। কেনই বা বজ্রপাতের শব্দ কিছুটা পরে শুনতে পাওয়া যায়। এই সব প্রশ্নের উত্তর আজ এখানে পাবেন। তবে আর দেরি কেন?
google image |
মেঘের মধ্যে কিভাবে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয় তা নিয়ে অনেক মতভেদ আছে। তবে সবথেকে ভাল ব্যাখ্যাটি হল জলীয় বাষ্প ওপরের দিকে ওঠার সময় মেঘের নিচের অংশের সাথে সৃষ্ট ঘর্ষণে ওপরের দিকে উঠতে থাকা জলীয় বাষ্প কণা থেকে ইলেকট্রন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এই ইলেকট্রনগুলো মেঘের নিচের অংশে জমা হয় আর ইলেকট্রন হারিয়ে ধনাত্মক চার্জগ্রস্ত হয়ে পড়া বাষ্প ওপরের দিকে উঠে যায়। ফলে মেঘের নিচের অংশ ঋণাত্মক চার্জগ্রস্ত হয় আর ওপরের অংশ ধনাত্মক চার্জগ্রস্ত হয়ে পড়ে।
এ প্রক্রিয়ায় অনেক সময় মেঘের নিচের অংশ এতটাই ঋণাত্মক চার্জগ্রস্ত হয়ে পড়ে যে তা ভূপৃষ্ঠের ইলেকট্রনগুলোকেও বিকর্ষণ করে গভীরে পাঠিয়ে দেয়। ফলে ভূপৃষ্ঠের ওপরের অংশ ধনাত্মক চার্জগ্রস্ত হয়ে পড়ে। ভূপৃষ্ঠ আর মেঘের মধ্যে বিভব পার্থক্য এতটাই বেড়ে যায় যে এটি নিজে থেকেই বাতাসকে আয়নিত করে। যেটা বিদ্যুৎ প্রবাহের জন্য একটা উৎকৃষ্ট মাধ্যম। এবং এভাবেই বজ্রপাত হয়ে থাকে।
বজ্রপাতের প্রচণ্ড উত্তাপে বাতাসের যে হঠাৎ প্রসারণ হয় তার ফলেই বজ্রপাতের শব্দ তৈরি হয়।
শব্দের বেগ আলোর বেগের চেয়ে কম বলে বজ্রপাতের শব্দ কিছুটা পরে শুনতে পাওয়া যায়।
আজকে এ পর্জন্তই। যদি আপনাদের আর কিছু জানার থাকে তবে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন।
ধন্যবাদ।
Post a Comment